স্বাধীন বাংলার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের জন্মভিটের খুঁজে নলুয়ার হাওয়র পাড়ি দিয়ে মেঠো পলস্নীর আকাঁ বাকাঁ পথ পেরিয়ে দুইপ্রামেত্মর সোনালী ফসলের ঢেউয়ের দোল দেখতে দেখতে উপজেলার শেষ সীমামেত্মর গ্রাম ভুরাখালীতে প্রবেশ করি। পাকা রাস্তা পেরিয়ে পায়ে হেঁটে কিছু দুর গিয়েই দেখা মিলে ভুরাখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে আব্দুস সামাদ আজাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। যার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র। বর্ষা মৌসুমে গ্রামের মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের কথা চিমত্মা করেই এ আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছিলেন সুখ দুঃখের আপনজন আব্দুস সামাদ আজাদ। আশ্রয় কেন্দ্রের পিছনের বাড়ীটি আব্দূস সামাদ আজাদের ঐতিহাসিক জন্মভূমি। হিজল করচ বেষ্টিত নলুয়ার হাওয়র পাড়ের ওই বাড়ীতে ঢুকলেই একটি আধা পাকা টিনসেট ঘর। অসংখ্য বৃক্ষলতা শোভিত বাড়ীতে চোট একতলা বিল্ডেং থাকলেও পরনো আমলের টিন সেট ঘরটি যেন এ এলাকার উজ্জলতার প্রতীক। কী আছে স্বাধীন বাংলার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের বিজড়িত এই বাসভবনে, কৌতুহল মেটাতে দেখতে চাইলে আব্দুস সামাদ আজাদের ভাতিজা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাফিজ উন্মোচন করলেন বন্ধ দরজা। চৌকাঠ ডিঙ্গাঁতেই চোখে পড়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙ্গাঁনো। রয়েছে জাতীর জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। যৌবনের তেজদীপ্ত আব্দুস সামাদ আজাদের নিজের একটি ছবি। রয়েছে বড় একটি কাঠের চেয়ার টেবিল বেঞ্চের মতো একবারে আটপোরে কিছু জিনিষ। এছাড়া উলেস্নখ করা মত এই বাড়ীতে কিছু নেই। নেই জৌলুসতার কোন চিহৃ। কেউ বিশ্বাস করতে পারবেনা এটি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ী। অথচ উপজেলা সদর থেকে ভূরাখালি পর্যমত্ম পৌঁছতে চোখে পড়ে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত অসংখ্য সুরম্য অট্রালিকা। গ্রামে বসবাসরত কার আত্নীয় স্বজনদের সাথে আলাপ করে জানা যায় যে, ২০০৫ সালে মৃত্যু শয্যা থাকাবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের ব্যয়বার বহনের জন্য তার উত্তরসরীদেরকে রাজধানীর কলাবাগানে থাকা একমাত্র বাসাটি ফ্ল্যাট বাড়ী বানিয়ে বিক্রি করতে হয়েছে। অথচ জনশ্রম্নতি রয়েছে সিলেট সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানে আব্দুস সামাদ আজাদের নাম ব্যবহার করে অনেকেই বিত্ত বৈভবের মালিকে হয়েছেন। আব্দুস সামাদ আজাদ মুজিবনগর সরকারের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার রাজনীতি শুরু করেন। পরে আওয়ামীলীগ সরকারের কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে জাতীয় চার নেতার সাথে তিনিও গ্রেফতার হন। ভাগ্যের শুনে সে দিন বেচেঁ গেলেও অত্যাচার নির্যাতন জেল জুলুম তাঁর সঙ্গী হয়ে পড়ে। শত নির্যাতনের পরও নীতি আর্দশের সংগ্রামে অবিচল থেকে চালিয়ে যান রাজনৈতিক দর্শন। পরবর্তীতে তাঁর প্রিয় সংগঠন আওয়ামীলীগকে বিধ্বসত্ম অবস্থান থেকে পূনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে আওয়ামীলীগের দায়িত্ব তুলে দিতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছিলেন। পূণর্গঠিত আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে জগন্নাথপুর-দক্ষিন সুনামগঞ্জ আসন থেকে আওয়ামীরীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১,১৯৯৬,ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নিবার্চিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে তিনি আবারও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। আমর্ত্মজাতিক কুটনীতিবিদ হিসেবে দেশে বিদেশে সুনাম অর্জন করলেও নিজের কিংবা তাঁর আত্নীয় স্বজনদের ভাগ্যে উন্নয়নে কিছু করেননি। ক্ষমতায়নের প্রভাব থেকে আত্নীয় স্বজনকে মুক্ত রাখেন। তাঁর গ্রামের বাড়ীটি না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেনা। এলাকার উন্নয়নে তাঁর আমত্মরিকতার প্রমান পাওয়া যায় জীবনের শেষ সায়াহ্নে এসে এলাকার উন্নয়ন কাজ তদারকি করতে। তার জ্যেষ্ট পুত্র আজিজুস সামাদ ডনের কথায়। তিনি বলেন আমার বাবা মৃত্যু শয্যায় থেকেও এলাকার উন্নয়নের কথা ভাবছেন। জোট সরকারের শাসনামলে তাঁর শুরম্ন করা কাজ গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে হাসপাতালে দেখতে যাওয়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিকট তিনি কাজগুলো চালুর দাবী জানান। কাজগুলো হলো পাগলা-জগন্নাথপুর আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক ও আধুনিক অডিটরিয়াম নির্মাণ কাজ। যা আজও বাস্তবায়িত হয়নি।
এছাড়াও যাদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ্য
১। জনাব, সুঃঅবঃ আবুল বশর (সাবেক চেয়ারম্যান), গ্রামঃ নারিকেলতলা, ডাকঃ নারিকেলতলা, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ ।
২। জনাব, আলাউদ্দিন (সাবেক চেয়ারম্যান) গ্রামঃ +ডাকঃ কুবাজপুর, উপজেলাঃ জগন্নাথপুর, জেলাঃ সুনামগঞ্জ ।
৩। জনাব, মোঃ জহির মিয়া ( সাবেক চেয়ারম্যান) গ্রামঃ আলমপুর, ডাকঃ রানীগঞ্জ বাজার, উপজেলাঃ জগন্নাথপুর, জেলাঃ সুনামগঞ্জ।
৪। জনাব, হাজী ফজলুল হক,(সাবেক ইউ,পি সদস্য) গ্রামঃ বাগময়না, ডাক:-রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
৫। জনাব, হাজী মোঃ সুন্দর আলী, গ্রামঃ বাগময়না, ডাকঃ রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, জেলাঃ সুনামগঞ্জ।
৬। জনাব, মোঃ আব্দুল হাফিজ (সাবেক চেয়ারম্যান), গ্রামঃ কামড়াখাই, ডাক:-বিবিয়ানাশান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
৭। জনাব, মুন্সী রহমত উল্লাহ, সাং-অনন্তগোলাম আলীপুর, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
৮। বাবু নিশিকান্ত (প্রধান শিক্ষক), রানীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
৯। জনাব, আব্দুস সামাদ (প্রধান শিক্ষক), রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
১০। জনাব, মোঃ মন্তাজ মিয়া,(প্রধান শিক্ষক) অনন্ত গোলাম আলীপুর, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
১১। জনাব,মোঃ তহুর উদ্দিন (সাবেক ইউ,পি সদস্য),রানীগঞ্জ, ইউ,পি, গ্রামঃ গন্ধর্বপুর, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
১২। জনাব, মোঃ ইছাকুর রহমান,(সাবেক ইউ,পি সদস্য, রানীগঞ্জ ইউ,পি) গ্রামঃ অপাসাধু, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
১৩। বাবু, রনধীর দাশ তালুকদার, প্রধান শিক্ষক, পাইলগাঁও বিএন উচ্চ বিদ্যালয়, গ্রামঃ গন্ধর্বপুর, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর,
১৪। জনাব, মোঃ চাঁন মিয়া, গ্রামঃ গন্ধর্বপুর, রানীগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
১৫। জনাব, মোঃ নুরুল ইসলাম, গ্রামঃ ঘোষগাঁও, জগন্নাথপুর, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
১৬। মোঃ আজাদাদুর রহমান, শিক্ষক রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস